প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীজির ঘর পরিবার সমস্ত কিছুই গুজরাটের বরনগরে।খুব সাধারণ।মোদীজির ছোট ভাই একটি জব করেন। মোদীজির বাড়ি থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির সভা হচ্ছিল। সমাবেশে প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছিল।এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাইও ওই সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন।সভায় পিছনে থাকা মিডিয়া ও নিউস চ্যানেলগুলো মোদীজির ভাইয়ের উপর লক্ষও রাখছিলেন।সমাবেশ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মিডিয়া নরেন্দ্র মোদীজির ভাইয়ের কাছে এসে নানান প্রশ্ন করতে শুরু করেন।এই প্রশ্নের মধ্যে একটা প্রশ্ন ছিল, 'মোদীজি তো সামনেই আছেন,উনার সাথে দেখা কেন করছেন না?মিডিয়া মোদীজির ভাইকে প্রশ্ন করে আপনি শেষ কখন আপনার ভাইয়ের সাথে দেখা করেছেন?এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান যখন মোদীজি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তখন উনার সাথে শেষবার দেখা হয়েছিল।মিডিয়ার পরবর্তী প্রশ্ন ছিল,আপনি আপনার দাদার কাছে থেকে সাহায্য কেন চাইছেন না? এই প্রশ্নের উত্তরে উনার ভাই জানান
"উনি নিজে একজন সন্ন্যাসী,
উনি নিজের জন্য কিছু করেন না তো আমাদের জন্য কি করবেন!উনার উপর দেশের দায়িত্ব রয়েছে।যা দেবেন সবাইকে দেবেন।"
মিডিয়া উনাকে বলেন ,মোদীজি সামনেই আছেন আপনি উনার সাথে দেখা করতে পারেন।এর জবাবে উনার ভাই বলেন,"উনার(প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) এক একটা মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লি গিয়ে আপনি এবং আপনার পরিবার মোদীজির সাথে দেখা কেন করছেন না?হয়তো এতে আপনাদের কিছু সাহায্যও হয়ে যাবে। এর উত্তরে মোদীজির ভাই যা বলেছিলেন তাতে মিডিয়ারও চোখ নিচে নেমে গিয়েছিল, মোদীজির ভাই বলেন-
"আজ পর্যন্ত দেশের মিডিয়া আমাদের ভাইদের ও আমাদের পরিবারদের তাদের চ্যানেলে কখনো দেখায়নি।আমরা কি কাজ করি,আমরা কিভাবে জীবনযাপন করি,আমাদের সন্তানেরা কোথায় পড়াশোনা করে কোনো কিছুই মিডিয়া দেখাইনি কারণ,এগুলো দেখালে বিরোধী পার্টিদের মুখ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে এবং মানুষের মনে মোদীজির প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যাবে।দিল্লি গিয়ে যদি দেখা করি তাহলে মিডিয়া সেটা নিয়ে ইস্যু করবে এবং বিরোধী পার্টির বলবে মোদীজি কোটি কোটি টাকা তাঁদের ভাইদের পাচার করছেন।আমার চাই না আমাদের জন্য নরেন্দ্রমোদির উপর কেউ আঙ্গুল তুলুক।"
এটা বলার পর মোদীজির ভাই পার্কিংয়ে থাকা নিজের পুরানো স্কুটার নিয়ে চলে যান।মোদীজি এবং উনার পরিবারের এই মহানতা সবার পরিবার থেকে উনাদের আলাদা করে।এই বিশেষত্ব গুলো থাকার জন্যই হয়তো ইনাদের পরিবার লালু,কেজরিওয়াল বা অন্যান্য নেতা নেত্রীদের পরিবারের মতো প্রচুর টাকার মালিক বা ফুলে ফেঁপে উঠতে পারেনি।