রাজ্যে যেভাবে গেরুয়া শিবির শক্ত হচ্ছে তাতে পশ্চিমবঙ্গে পদ্মফুল ফুটতে আর বেশি দেরি নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। আর বিজেপির এই বেড়ে চলা শক্তিকে আরো মজবুত করতে কিছুদিন আগেই এসেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আর এবার অমিত শাহের পর রাজ্যে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মেদিনীপুরে কৃষকদের কৃষক কল্যাণ সমাবেশে যোগদেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের উৎপাদিত শস্যের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর পর বিজেপি এই সভার আয়োজন করেছে বলে মনে করা হয়েছে।
এই সভায় উপস্থিত বিশাল জনসংখ্যাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধন্যবাদ জানান। মেদনিপুরের রাস্তায় রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর লাগানো ব্যানার এর উপর কটাক্ষ করেন মোদীজি। মোদীজি ২০২২ এর মধ্যে কিভাবে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করবেন সেই বিষয়েও উপস্থিত সকলকে জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার এই সভা থেকে তৃণমূলের উপর তীব্র আক্রমন ছুড়েন। মোদীজি বলেন, ‘ এই রাজ্যে সিন্ডিকেট ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয় , পশ্চিমবঙ্গে মা মাটি মানুষের নামে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। নতুন কোনো সংস্থা খুলতে গেলেও সিন্ডিকেটের দারস্ত হয়ে হয় এমনকি ইট,বালি,সিমেন্ট কিনতেও সিন্ডিকেটের পা ধরতে হয় সাধারণ মানুষকে।’
প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি রাজ্যে কলেজে ভর্তির উপর তৃণমূল যে দুর্নীতি চালিয়েছে সেটার উপরেও মন্তব্য করেন। মোদীজি বলেন কলেজে ভর্তি হতে গেলেও সিন্ডিকেট এর কাছে দারস্ত হতে হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল যেভাবে অপশাসন চালিয়েছে তার নিন্দা করে মোদীজি বলেন, ‘ভোট ব্যাঙ্ক থেকে বিরোধীদের হত্যা সবক্ষেত্রেই কাজে লাগানো হচ্ছে সিন্ডিকেটদের।
বাম আমলের থেকেও খারাপ অবস্থা এখন পশ্চিমবঙ্গে, একের পর এক দলিতকে হত্যা করে ফেলা হয়েছে। এর পরেও আপনারা আশা ছাড়েননি এটাই বাংলার ভবিষ্যতের লক্ষণ।’মোদীজি বলেন সাহস আর সংকল্প থাকলে সিন্ডিকেট নড়ে যাবে। গণতন্ত্র, নিবার্চন ও বিচার ব্যাবস্থায় যাদের ভরসা নেই তারা ছাড় পাবে না। বাংলা জুলুমের শাসন থেকে মুক্তি চাই সেই সুযোগের অপেক্ষাতেই রয়েছে এই রাজ্যের মানুষ।বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলেও মমতর সরকারকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী।