কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর থেকে একের পর এক বড় পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। এক দিকে যেমন দেশের দরিদ্র মানুষদের জন্য নানা রকমের সুবিধা প্রদানের ব্যাবস্থা করছে তেমনি দেশের অসাধু মানুষদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র। এক কথায় বলা যায় কেন্দ্রে মোদী সরকার আসার পর থেকে দেশের গরিবরা যেমন ভালো ভাবে রাতে ঘুমাতে পারছেন তেমনি দেশের অসাধু কালো টাকাওয়ালাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকারের প্রথম পদক্ষেপ ছিল কালো টাকার বিরুদ্ধে সচ্ছার হওয়া। সেই পথে মোদী সরকার অনেকটাই এগিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আসলে কিছু দিন আগে বিরোধীরা সরব হয়েছিল যে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত সম্পত্তির পরিমাণ মোদীর আমলে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায় এই তথ্যটি একদমই ভুল ছিল। এটা শুধু মোদী সরকারের নাম খারাপ করার কৌশল মাত্র। সম্প্রতি ভারতের অর্থমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেয়াস চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, মোদী জামানায় ভারতীয়রা ইদানিং সুইস ব্যাংকে টাকা রাখা অনেক কমিয়ে দিয়েছেন। সেই টাকার পরিমান ৮০ শতাংশ কমেছে এমনটা দাবি করা হয়েছে সেই চিঠিতে এবং তারা এটাও জানান যে এখন যে টাকা রাখা হচ্ছে তার সমস্তটাই কালো টাকা নয়। এটা শুধুমাত্র মোদী সরকারের জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর তাদের মূল লক্ষ্য ছিল এই সুইস ব্যাংক এ জমানো কালো টাকার দিকে । তাই মোদীজি কেন্দ্রের দায়িত্ব পেয়েই প্রথমে সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে একটি চুক্তি সাক্ষরিত করেন। সেই চুক্তিতে বলা হয় সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের খোলা একাউন্টের তথ্য সরাসরি পাবে ভারত সরকার। মূলত এর মাধ্যমের এখন সমস্তরকম তথ্য কেন্দ্রের হাতে আসছে। ফলে কেউ যদি কোনোরকম কালো টাকা সেখানে রাখে সেটা কেন্দ্র সরকার সহজেই জানতে পেরে যাবে। এই সব নানা তথ্যের মাধ্যমে এখন এটাই জানা যাচ্ছে যে মোদী সরকারের আমলে সুইস ব্যাংকে টাকা রাখার পরিমান ৮০% কমে গিয়েছে।
#অগ্নিপুত্র
24 ghanta