দেশে বর্তমানে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে দেশের সকল মোদী বিরোধী পার্টির উপর থেকে তাদের নিজেদের কর্মী সমর্থকদেরই ভরসা উঠে যাচ্ছে। তাই সব পার্টি থেকে এখন বিজেপিতে যোগদান করছেন হাজার হাজার কর্মী সমর্থক।
দেশের যেসকল স্থান থেকে বিজেপির সদস্য সংখ্যা সবথেকে বাড়ছে তা হলো পশ্চিমবঙ্গ আর পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেও উত্তরবঙ্গের এলাকায় বিজেপি দিন দিন আর শক্তিশালী হচ্ছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের দুই জেলাতে দেখা গেল প্রচুর দলছাড়া মানুষ যাদের মধ্যে বিজেপিতে যোগদান করার এক প্রবল হিড়িক দেখা গেল। রবিবার বিজেপির তরফ থেকে একটা সভা অনুষ্ঠিত করা হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের করদহ হাইস্কুল মাঠে। সেখানে স্থানীয় আরএসপি’র সুব্রত বিশ্বাসের নেতৃত্বে আরএসপি’র লক্ষ্মী মুর্মু যিনি রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রাক্তন সদস্যা, জেলাপরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান সহ প্রায় দশ হাজার কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
অন্যদিকে আরেক জেলা মালদহ সেখানেও বিরোধ পার্টির অনেক নেতা বিজেপিতে আসেন। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর মালদহ জেলার গাজলে জেলার নাম করা সপা নেতা মিলন দাসের নেতৃত্বে একটি সভা করা হয় সেখানে প্রায় ৬০০০ কর্মী সমর্থক বিজেপি তে আসেন। সেই সাথে সমাজবাদী পার্টির বহু নেতা সেই দিন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। করদহ হাইস্কুল মাঠে দিলীপ ঘোষ তার বক্তৃতা দেবার সময় বলেন যে ২১শে জুলাই শনিবার কলকাতাতে শহিদ দিবসের নাম করে সার্কাস হয়েছে। তিনি বলেন যে সেই দিন সেখানে অনেকে তৃনমূলে যোগদান করেন কিন্তু তাদের মধ্যে জনবল বলে কিছু নেই৷
তিনি তৃনমূলে যোগদান করা নেতাদের কটাক্ষের শুরে বলেন যে, যেসব নেতাদের তাদের পার্টি দল থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন, যাদের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয় না সেই সব বাকি খাতার নেতারা এখন তৃনমূলে যোগদান করছেন। এদেরকে আগামী নির্বাচনে ভোটে দাড় করালে নিজেদের পরিবারই তাদের ভোট দেবেন না। কিন্তু বিজেপিতে যারা যোগদান করছেন তাদের জনবল আছে। তবে শুধু উত্তরবঙ্গেয় নয়, একই সাথে দক্ষিণবঙ্গেও বিজেপিতে ব্যাপক হারে যোগ দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।
মাত্র কিছুদিন আগেই পুরুলিয়ার বলরামপুর এলাকায় তৃণমূল শুন্য করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে তৃণমূল নেতা কাউন্সিলার সহ হাজার খানেক কর্মী। এমনকি দক্ষিণ দিনাজপুরের পনিশালা থেকেও সিপিএম,কংগ্রেস ছেড়ে বহু নেতা কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছে। কংগ্রেস ও CPIM থেকে ২৫,০০ কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি বিজেপি যে হারে রাজ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ২০২২ এর মধ্যে রাজ্যে বিজেপি শাসন আসার অনেকাংশে সুযোগ রয়েছে।
#অগ্নিপুত্র
24 ghanta