প্রায় ৯ সপ্তাহ ধরে দিল্লির এমসে মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর স্বর্গবাস করেছন দেশের পূর্ব প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। অটলজির নিধন ১৬ আগস্টের সন্ধ্যের সময় হয়। যার পর পুরো দেশ শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং পুরো দেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয় এর সাথে সাথে কিছু রাজ্য তাদের সরকারি কাজে ছুটি ঘোষণা করে। আসলে অটলজির মতো জননেতা ভারতের ইতিহাসে খুব কম জন্ম নেয় যাদের ব্যাক্তিত্ব এতটা অসাধারণ। আপনাদের জানিয়ে দি অটলজির আমলে জনসঙ্ঘ(বর্তমানে বিজেপি) খুব ছোট একটা দল ছিল যার জন্য অনেকবার হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু কিছু নির্বাচনে অটলজি হেরেও গেছিলেন। কিন্তু এরপরেও অটলজিকে মহান নেতা হিসেবে গণ্য করা হয় কারণ উনার কাজ ও ব্যাক্তিত্ব মহান ছিল। এই জন্যেই উনার অন্তিম যাত্রায় পুরো দেশ থেকে হাজার হাজার লোক বিজেপি কার্যালয় পৌঁছেছিলেন। অটলজিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার মধ্যে তাদেরও নাম শামিল ছিল যার পিতার জন্য একবার আটলজিকে নির্বাচনে হারতে হয়েছিল।
যার কাছে অটলজি নির্বাচনে হেরেছিলেন উনারই ছেলে অটলজিকে এমনভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন যে উপস্থিত সকলে ভাবুক হয়ে পড়েন। ১৭ আগস্ট সকালে অটলজির পার্থিব শরীর বিজেপির মুখ্যকার্যালয়ে রাখা হয়। যেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করার জন্য বিজেপির ছোট বড়ো নেতা, বিরোধী দলের বড়ো নেতা, ভুতকনের রাজা, আফগানিস্থান ও বাংলাদেশের বড়ো মন্ত্রীদের সাথে দেশের প্রত্যেক কোন থেকে অটলপ্রেমীরা সামিল হয়েছিলেন। এদের মধ্যেই সামিল হয়েছিলেন কংগ্রেস সংসদ জ্যোতিআদিত্য সিন্ধা। যিনি হাটু গেঁড়ে অটলজিকে শ্রদ্ধাঅঞ্জলী দেন। সেই সময় জ্যোতিরআদিত্য সিন্ধা চোখে জল ছিল এবং উনি এতটাই ভাবুক হয়েছিলেন যে কিছুক্ষন ঐভাবেই বসেছিলেন।
যারপর উনাকে ওই অবস্থা থেকে উঠানো হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ীজির প্রতি এমন শ্রদ্ধাপূর্ন শ্রদ্ধাঞ্জলি দেখে উপস্থিত সকলে ভাবুক হয়ে পড়েন এবং উনাকে সকলেই সম্মানের চোখে দেখেন। আপনাদের জানিয়ে দি, জ্যোতিরাদ্বিতী সিন্ধা গোয়ালীয়রের মহারাজ ও পূর্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাধবরাও সিন্ধার ছেলে। বাজপায়েজির দল তখন এখনকার বিজেপি দলের মতো মজবুত ছিল না, অটলজি নীতি ও নিষ্ঠার সাথে দলকে তৈরি করেছেন। ১৯৮৪ সালে মাধবরাও সিন্ধা অটল বিহারী বাজপেয়ীজিকে হারিয়ে দিয়েছিলেন।
যদিও ১৯৭১ এ উনি গোয়ালীয়র থেকে সাংসদ ছিলেন । এরপর অটলজি সাল ১৯৯১ এ মধ্যেপ্রদেশের বিদিশা থেকে নির্বাচন লড়েন এবং জয়ী হন।
শুরুর দিকে উনি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর থেকে নির্বাচন লড়ে জয়ী হয়েছিলেন। স্বর্গীয় অটলজির জন্ম মধ্যেপ্রদেশের গোয়ালীয়রে ১৯২৪ সালের ২৫ শে ডিসেম্বরে হয়েছিল। গোয়ালীয়রে জন্মগ্রহন করলেও উনি মূলত উত্তরপ্রদেশের বোটেশর থেকে ছিলেন। যেহেতু অটলজির পিতা শিক্ষক ছিলেন সেই সূত্রেই অটল বিহারী বাজপেয়ীজির জন্ম গোয়ালীয়রে হয়েছিল এবং সেখানেই উনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে স্নাতক ও স্নাতকউত্তর পড়াশোনার উনি কানপুর থেকে করেছিলেন। জ্যোতিরাদ্বিতী সিন্ধার ঠাকুমা ও মাধবরাও সিন্ধার মাতা বিজইরাজি সিন্ধা বিজেপির সংস্থাপক সদস্যদের মধ্যে একজন ছিলেন। এছাড়ও মাধবরাও সিন্ধার সাথে অটল বিহারী বাজপেয়ীজির সম্পর্ক বিরোধী থাকলেও উনাকদের ব্যাক্তিগত সম্পর্ক খুবই মধুর ছিল।
The post যার কাছে নির্বাচনে হেরেছিলেন অটলজি, তাঁরই ছেলে এমন শ্রদ্ধাঞ্জলি দিলেন যে সকল ভাবুক হয়ে পড়লেন। appeared first on India Rag.
from India Rag https://ift.tt/2Piz6Cx
24 ghanta