অসমে কয়েকদিন আগেই বের হলো এনআরসির রিপোর্ট । রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া ৩ কোটি ২৯ লক্ষ আসামবাসির আবেদন পরিক্ষা করে সব নথিপত্র যাচাই করার পর একটি তালিকা প্রকাশ করেন সেখানে নাম নেই প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের। ফলে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে অবৈধ বসবাসকারী হিসাবে গন্য করা হয়েছে। তবে সুপ্রিমকোর্ট এর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নাম না থাকা মানুষ দের কে সুযোগ দেওয়া হবে তাদের নথিপত্রের সঠিক প্রমান করার জন্য সেই জন্য সুপ্রিমকোর্ট এর তরফে ৩০ আগস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পযন্ত দিন ধায্য করে দেওয়া হয়েছে। তার পরই প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত তালিকা। এখন, এই জাতীয় পঞ্জীকরণকে ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান বলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দলের নেতা মন্ত্রীরা।
বিভিন্ন সোশ্যাল সাইড সহ সংবাদ মাধ্যমে এখন খবরের শিরনামে রয়েছে এই বিষয় টি। আসলে এই সব কিছু বিরোধীরা করছেন তার একমাত্র কারন হল বিজেপিবিরোধিতা কার্যক্রম এবং ভোট ব্যাংক। যদিও বিজেপি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে যাদের নাম সেই তালিকায় নেই তারা বেশিরভাগ বাংলাদেশি মুসলিম। শুধু মাত্র বাংলা ভাষাতে কথা বলা সাধারণ বাঙালি নন। আরও বলা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে সেটা হল সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ কে মান্যতা দিয়েই তারা এই পুরো কাজটি করেছে।
এই ভাবে বারবার ‘বাংলাদেশি মুসলমান’ দের তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলার কোনো কারন নেই। কারন আইনেই দিক দিয়েতো কোনো ভাবেই নয়। ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশন ফর রিফিউজিস জেনেভা তে উদ্বাস্তু বা রিফিউজিদের একটা সংজ্ঞা তৈরি করেন সেখানে বলা হয় যে, একজন সাধারন মানুষ যদি তার নিজের দেশের ভিতর গভীর ভাবে অত্যাচারিত হয়। যুদ্ধ বা অন্যান্য সন্ত্রাসজনিত কারনের সেই দেশের সরকারের কাছে কোনো রকম সাহায্য না পেয়ে সেই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেই তাহলেই একমাত্র তিনি অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তু বা শরণার্থী হিসাবে থাকতে পারবেন।
এই রকম পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে বাংলাদেশী হিন্দুদের। তাদের উপর একতরফা অকথ্য অত্যাচার করা হয়, তাদের বাড়ি ঘর সব জালিয়ে দেওয়া হয়। তাদের দোকান পাঠ সব কিছু লুট করে নেওয়া হয় সেই দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের দ্বারা। তাই সেই দেশ থেকে আগত বৌদ্ধ ও হিন্দুদের শরণার্থী হিসাবে ধরা হয়। কিন্তু অনেক মুসলিম বাংলাদেশ থেকে অর্থনৈতিক কারণে ভারতে চলে আসে এবং আর ফিরে যায় নি।
এই ভাবে কোনো গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র থেকে অর্থনৈতিক কারনে চলে আসাকে শরণার্থী হিসাবে স্কিকৃতি দেওয়া হয়নি সেই আইনে তাই বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী। তাই ভারত সরকার চাইলে তাদের কে দেশ থেকে বের করে দিতে পারেন। এর ফলে বলা হয়েছে যে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যে যে হিন্দু ভারতে এসেছেন তাদের কোনো কিছু করা হবে না। তারা সুরক্ষার সাথে ভারতে থাকতে পারবেন।
এর ফলে বাংলাদেশি হিন্দু উদ্বাস্তুরা বিশেষ উপকৃত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে ভোট লোভী পার্টির নেতারা জেনে বুঝে ভুল করেছেন কারন এর ফলে তাদের অনেক লাভ হয়েছে। সেই ভুল হল তারা অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থীদের একই লাইনে দাড় করিয়েছেন যাতে কোনো ভাবেই তাদের নিজেদের দেশে না ফেরত পাঠানো যায়। তাদের এই ইচ্ছাকৃত ভুলের মাসুল দিতে হয়েছে বাংলাদেশি হিন্দুদের।
অনেক মুসলিম অঅনুপ্রবেশকারী কে শরণার্থীদের সাথে একসুত্রে রেখে দেওয়ায় তারা হিন্দু শরণার্থীদের উপর হামলা চালায়, বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে। অত্যাচার করার ফলে ধীরে ধীরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে হিন্দুদের সংখা কমে গিয়েছে। তারা নিজেদের প্রান বাচানোর জন্য পালিয়ে গিয়েছে অন্য এলাকায়। তাই দেশ কে বাঁচাতে দেশের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে এই অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থীদের মধ্যে তফাৎ করে, খুঁজে বের করতে হবে সেই সকল অনুপ্রবেশকারীদের। বিশিষ্ট মহলের মতে এই ব্যাপারে একমাত্র বড়ো ভূমিকা নিতে পারে এনআরসি। কিন্তু দুঃখের বিষয় কিছু বিজেপি বিরোধী দলগুলো শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের পার্থক্য জনগণকে না বুঝিয়ে উল্টে বাঙালি খেদাও বলে বা কখনো সাম্প্রদায়িক রঙ দিয়ে জনগণের ব্রেনওয়াশ করছে।
#অগ্নিপুত্র
The post ‘বাঙালি আবেগের আড়ালে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশিদের।’ appeared first on India Rag.
24 ghanta