নয়া দিল্লীঃ ছাত্র আবাসের শুল্ক বাড়ানো যাবেনা। আর সেই দাবি নিয়েই জওহর লাল নেহরু ইউনিভার্সিটির ছাত্রসঙ্ঘ সোমবার সংসদ পর্যন্ত জুলুস বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড লাগিয়ে সেই জুলুস আগেই থামিয়ে দেয়। সোমবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। জওহর লাল নেহরু ইউনিভার্সিটির ছাত্রসঙ্ঘ এর সদস্যেরা সংসদের দিকেই তাঁদের মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এই মিছিলের কারণে দিল্লীর অনেক মানুষই ভোগান্তির স্বীকার হন। মিছিলের কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রশাসন চারটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ রেখেছিল।
বন্ধ থাকা মেট্রো স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ায়নি, আর এন্ট্রি এবং এক্সিট গেট বন্ধ ছিল। দিল্লী পুলিশের পরামরশে দিল্লী মেট্রো লোক কল্যাণ মার্গ স্টেশনকে বন্ধ করে দেয়। প্রসঙ্গত, এই রোডেই প্রধানমন্ত্রীর আবাস। JNU তে ফিস বাড়ানোর প্রতিবাদে ছাত্ররা সংসদের দিকে মার্চ বের করে, আর সেই জন্য প্রশাসন উদ্যোগ ভবন, প্যাটেল চৌক আর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্টেশনকেও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দিল্লী পুলিশ ছাত্রদের আটকানোর জন্য ব্যারিকেড লাগিয়েছিল আর JNU ক্যাম্পাসে সুরক্ষা দলকে মোতায়েন করা হয়েছিল। এলাকায় ১৪৪ ধারা লাগু করা হয়েছিল। ১৪৪ ধারা অনুযায়ী, চারজনের বেশি মানুষ একসাথে এক জায়গায় থাকতে পারবেন না। শিক্ষা সচিব আংশিক ফিস বৃদ্ধি নিয়ে ছাত্রদের চিন্তা দূর করার চেষ্টা করছেন। এবং ছাত্রদের সাথে কথা বলার জন্য একটি সমিতি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু ছাত্ররা তাতেও সন্তুষ্ট না।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, JNU এর আগে বহুবার শিরোনামে উঠে এসেছে। আর প্রতিবারই দেশ বিরোধী কার্যকলাপের জন্য। ২০১০ সালে দান্তেওয়ারায় ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন মাওবাদীদের আক্রমণে। আর সেই ঘটনায় JNU তে খুশির উৎসব পালন করা হয়েছিল। ২০১১ সালে JNU তে মহিষাসুর দিবস পালন করে মা দুর্গার বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে ভারতের ম্যাপ থেকে জম্মু কাশ্মীরকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল JNU তে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জঙ্গি আফজল গুরুর সমর্থনে JNU তে দেশ বিরোধী স্লোগান উঠেছিল। ২০১৯ এর ১৪ ই নভেম্বর বাঙালি মনিষী স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভেঙে সেখানে অকথ্য গালি গালাজ লিখে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ এর ১১ নভেম্বর মহিলা প্রফেসরের সাথে অভদ্রতা করে, ওনাকে বন্দি বানানো হয়েছিল।
from Supravat https://ift.tt/2r1u4mf