শ্রীনগরঃ জম্মু কাশ্মীরের সীমান্তে পাকিস্তানি সেনা জানুয়ারি মাস থেকে এখনো পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ বারের উপর যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় সেনার কাছে প্রতিবার মোক্ষম জবাব পাওয়ার পরেও পাকিস্তানি সেনা এই দুঃসাহস করেই চলেছে। পাকিস্তানি সেনা প্রতিবার সীমান্তে থাকা ভারতীয় গ্রাম গুলোকে নিশানা বানাচ্ছে। পাকিস্তানের গুলির থেকে বাঁচার জন্য সীমান্ত এলাকার মানুষেরা সরকার দ্বারা বানানো ব্যাঙ্কার গুলোতে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছে।
জম্মু কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত রাজ্য হওয়ার পর, আর সেখানে ৩৭০, ৩৫এ ধারা খতম হওয়ার পর পাকিস্তান ভারতের উপর চরম তেঁতে রয়েছে। আর সেই কারণে পাকিস্তান জম্মু এর হীরানগর, আখনুর, সুন্দরবিনি, নৌশেরা, রাজৌরি, মন্দের, উরি, কুপওয়ারা সমেত আরও কিছু এলাকায় বিগত তিন মাস ধরে প্রতিদিন যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে, কাঠুয়া থেকে কুপওয়ারা আর তংধার পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনা দিনে কমপক্ষে ১০ বার করে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করছে।
গোটা বিশ্বে কাশ্মীর নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করা পাকিস্তান আর তাঁদের সেনা লাগাতার নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে থাকা গ্রাম গুলোকে নিশানা বানাচ্ছে। ভারতীয় সেনার সাথে সোজাসুজি টক্কর নিতে ভয় পাওয়া পাক সেনা নিরীহ মানুষদের উপরে কাপুরুষদের মতো আক্রমণ করে চলেছে। পাকিস্তানের গুলি থেকে নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য বারবার গ্রামীণ এলাকার মানুষ সুরক্ষিত স্থানে ছুটে যাচ্ছে। কিন্তু এখন নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি বদলেছে।
সীমান্তের পাশে থাকা গ্রাম্য এলাকার মানুষ গুলোর সুরক্ষার জন্য সরকার বর্ডার ম্যানেজমেন্ট নীতি আপন করেছে। সরকারের এই নীতির জন্য সীমান্তের পাশে থাকা মানুষ গুলোর উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে। সীমান্তের পাশে থাকা মানুষ গুলো এখন আর পাকিস্তানের আক্রমণের ভয় পাচ্ছেনা। বরঞ্চ তাঁরা এখন তংধার সেক্টরে ভারতের পালটা আক্রমণের জন্য গর্ব করছে। আর মানুষের মধ্যে এই নতুন উদ্দীপনা মোদী সরকারের বাঙ্কার নীতির কারণে এসেছে।
মোদী সরকার পাকিস্তানের গুলির রেঞ্জ থেকে প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গলি, এবং গ্রামের মানুষের সুরক্ষার জন্য বাঙ্কার বানিয়ে দিয়েছে। জম্মুর কাঠুয়া থেকে শুরু করে কাশ্মীরের কুপওয়ারা পর্যন্ত ১৪৪৬০ টি নতুন বাঙ্কার বানানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে। আর এর জন্য ৪১৫.৭৩ কোটি টাকা গত বছরেই সরকার জারি করে দিয়েছিল। বর্ডারের কয়েকটি এলাকায় ৯০ শতাংশ বাঙ্কার বানানো হয়েছে। তাই এখন সীমান্তের মানুষ ভয় পাওয়ার জায়গায়, পাকিস্তানের সাথে লড়ার কথা বলেন। জম্মুর রাজৌরি জেলায় ১২০ কিমি নিয়ন্ত্রণ রেখা আছে। পাকিস্তানের গুলি থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই এলাকার মানুষেরা সরকারের থেকে আরও বাঙ্কারের দাবি করছে।
from Supravat https://ift.tt/2CTRw7i